নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা মহামারির প্রভাব না কাটতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞার ফলে সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধ বন্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও আটটি জাহাজের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শুধু বাংলাদেশ না, সারা বিশ্বের উন্নত দেশগুলো জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে। আমরাও তার থেকে বাইরে না। হঠাৎ করে সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে।”
তিনি বলেন, “একদিকে করোনা মহামারির প্রভাব, অন্যদিকে ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সেই সঙ্গে স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা)। যার ফলে আজকে সারাবিশ্বের সাধারণ মানুষগুলো ভুক্তভোগী। তারা কষ্টে আছে। কারা লাভবান হচ্ছে জানি না। হয়তো লাভবান হচ্ছে যারা অস্ত্র ব্যবসা করেন, অস্ত্র বানান।”
সরকারপ্রধান আরও বলেন, “শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বব্যাপী মানুষগুলো কষ্ট পাচ্ছে। কাজেই আমার বিশ্ববাসীর কাছে আবেদন, এই যুদ্ধটা বন্ধ করতে হবে। স্যাংশন প্রত্যাহার করতে হবে। মানুষকে বাঁচার সুযোগ দিতে হবে। মানুষের জীবনমান ধরে রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি মনে করি উন্নত দেশগুলো, যারা যুদ্ধংদেহী ভাব নিয়ে পথে নেমেছেন, তাদের কাছে আমার এই আবেদনটা থাকল। আমরা চাই, এই অস্থিরতা বন্ধ হোক।”
শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এই পায়রা বন্দরটা এক সময় আমরা গভীর সমুদ্রবন্দরে উন্নত করতে পারব। ইতোমধ্যে মাতারবাড়ি-মহেশখালী গভীর সমুদ্রবন্দরে রূপান্তর হয়েছে।”
তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গের মানুষকে আমি দক্ষিণে নিয়ে গেছি, বাংলাদেশটা চেনার জন্য। এটা হচ্ছে বাস্তব কথা। এই নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ বাংলাদেশের অর্থে হচ্ছে। আমাদের রিজার্ভের টাকা দিয়ে তৈরি করা ফান্ড এবং এর টাকা দিয়েই আমরা এই কাজটা শুরু করতে যাচ্ছি।”
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েল, নৌ পরিবহন সচিব মোস্তফা কামাল।